আইনশৃংখলা বাহিনী পাড়ার মাস্তান
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আইন শৃংখলাবাহিনীর কর্তাদের পাড়ার মাস্তানদের মতো মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয় তারা পাড়া মহল্লার মাস্তান হয়ে গেছেন। আর তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় তারা মাস্তানদের চাইতেও বড়।
তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা যাদের বুকে গুলি চালাচ্ছেন, তাদেরকে কি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার সময় মারছেন ? এসময় তিনি একটি পত্রিকার প্রতিবেদন উল্রেখ করে বলেন, একজন বিএনপির কর্মী তার স্ত্রীর প্রসব বেদনায় কাতরতা দেখে ডাক্তার আনতে যায় আর এসময় পুলিশ তাকে আটক করে গুলি করে হত্যা করে। এই হলো আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কাজ।
তিনি বলেন, দেশের নিরিহ ও সাধারণ মানুষদেরকে বুক ও হাটুতে এভাবেই গুলি করে মারা হচ্ছে । আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্তাদের বিচার শুধু দেশের মাটিতেই নয়। বিদেশের মাটিতেও করা যেতে পারে।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দলে ক্ষমতায় আসলে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা ভুলে যাবেন না। আইনশৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ইউনিফর্ম পরেন,আমাদের জনগনের করের টাকায়, উপযুক্ত সময় আসলে আপনাদের বিচার অবশ্যই হবে।
তিনি সুপ্রিমকোর্ট বারকে পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সারাদেশের চলমান বিচার বহি:ভুত হত্যা কাণ্ডের একটি নির্দলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার আহবান জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, “বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মতো এমন ফ্যাসিস্ট সরকার নব্বইয়ের পর আর দেখিনি…। এরশাদ ও খালেদার সময়ও বিরোধীদল তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারত। কিন্তু এখন পারছে না। এরশাদ-খালেদার মধ্যেও নির্বাচনের পর পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অহংকার ছিল না। এ সরকার পাঁচ বছর থাকবে বলছে।”
আসিফ নজরুল বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। কিন্তু ক্রসফায়ারে নিহতদের স্বজনদের কান্না দেখে কি মমতাময়ী মায়ের কোনো কান্না আসে না ?”
‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও আমাদের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক ছাত্র ঐক্য। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক নাজমুল হাসান।
প্রতিক্ষণ /এডি/জামান